বেদ বাংলা 2022 পিডিএফ ডাউনলোড | Ved Bengali pdf download

বেদ বাংলা 2022 পিডিএফ ডাউনলোড | Ved Bengali pdf download


ভূমিকা সমগ্র বিশ্বের প্রবন্ধ সাহিত্যের ইতিহাসে বেদের স্থান অত্যন্ত উজ্জ্বল । পণ্ডিতেরা বলে থাকেন , ঋকবেদের স্তোত্রগুলি হল বিশ্বের প্রথম লিখিত অভিজ্ঞান । আজ থেকে অনেক হাজার বছর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিখ্যাত পণ্ডিতেরা তাদের সুতীক্ষ মনন এবং বুদ্ধি পরিচয় লিপিবদ্ধ করেছেন বেদের পাতায় । প্রথম দিকে অবশ্য বেদ লিখিত অবস্থায় ছিল না । এটি বংশ পরম্পরায় শ্রুত হয়ে বেঁচে থাকত । তাই বেদের অপর নাম শ্রুতি । বর্তমান গ্রন্থে আমরা চারটি বেদকে একত্রে গ্রন্থিত করেছি । এভাবেই একটি মহান কর্তব্য সম্পাদন করা হয়েছে ।

বেদ ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে আছে । বেদ না পড়লে আমরা সনাতন ভারতীয় সভ্যতা সম্পর্কে কিছুই জানতে পারি না । বিশ্বের সাহিত্য অনুধ্যানের ইতিহাসে বেদের তুল্য আর কোনাে বই আছে বলে আমাদের মনে হয় না । বৈদিক সাহিত্য যেভাবে একটি সমাজের সমগ্রতাকে তুলে ধরেছে এবং সর্বজনসমক্ষে প্রকাশ করেছে তা আমাদের মনে বিস্ময়ের উদ্রেক করে । বেদ পাঠক আমরা জীবনের অন্যতম পাঠের পুণ্যের কাজ বলে থাকি । বেদ পাঠের মাধ্যমে আত্মার উন্নতি হয় । আমরা আমাদের ঈঙ্গিত পথের সন্ধান পাই । মানুষ নিজেকে চিনতে পারে , মহা প্রকৃতির সাথে একাত্মতা অনুভব করতে পারে ।

vedas pdf download

পৌরাণিক অভিজ্ঞান বাদ দিলেও বেদের গুরুত্ব অপরিসীম । মানব জীবনের এমন কোনাে বিষয় নেই বেদ যার ওপর অলােচনা করেনি ! এইভাবেই সময়ানুগ এবং কালােত্তীর্ণ হয়ে উঠেছে । জটিল জীবনের যেকোনাে সমস্যার সুচারু সম্পাদনে বেদের গুরুত্ব অপরিসীম । আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও আমরা বেদকে অস্বীকার করতে পারি না । বেদ এখনাে আমাদের হতাশ , সমস্যা সঙ্কুল , জীবনে আশার বাণী বহন করতে পারে । সুতরাং একটি বিষয় আমরা অবশ্যই উল্লেখ করব তাহল বেদ পাঠক শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুধ্যান হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত নয় । বেদ পাঠ আমাদের অবশ্য কর্তব্য । বেদ পাঠ করলে আমরা মানুষ হিসাবে সফল এবং সার্থক হতে পারি ।

আমরা সকলেই জানি বেদকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ঋক , সাম , যজু এবং অথর্ব । প্রতিটি ভাগের নিজস্ব রূপরেখা আছে , আছে বিন্যাস এবং প্রয়ােগ পদ্ধতি । কীভাবে কোন বেদটি পাঠ করা হবে সে সম্পর্কেও সুষ্পষ্ট নির্দেশনামা আছে । এই প্রসঙ্গে আমরা প্রথমেই ঋকবেদের কথা বলব । কেননা এটি হল প্রাচীনতম বেদ । ঋকবেদের মধ্যে ভারতীয় বুদ্ধিজীবী সমাজের শ্রেষ্ঠ উপাদান নিহিত আছে । এই বেদ পাঠ করলে আমরা সমাজ এবং সংসার সম্পর্কে অবহিত হয়ে উঠি । আমরা বুঝতে পারি , কেন করুণাময় ঈশ্বরকে আমরা আহ্বান করছি । আমাদের অন্তঃকরণ যেন এক হয় , আমরা যেন সর্বাংশে সম্পূর্ণরূপে এক মত হই — এটি হল এই জাতীয় রচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ।

ঋকবেদ সংহিতার দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন মণ্ডল এবং সূক্তের উপস্থাপনা করা হয়েছে । এই পর্বে নানা ধরণের আচার আচরণের ওপর আলােকপাত করা হয়েছে । আমরা এই পর্বটি পড়লে বুঝতে পারি , নানা ধরণের আধ্যাত্মিক ক্রিয়া কলাপের ক্ষেত্রে কী ধরণের মন্ত্র উচ্চারণ করা উচিৎ । সেই অর্থে আমরা ঋবেদের দ্বিতীয় পর্বকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারার সাথে সংম্পৃক্ত একটি আকরগ্রন্থ হিসেবে তুলনা করতে পারি ।

পরবর্তী বেদটিকে বলে সামবেদ । পণ্ডিতেরা বলে থাকেন , সামবেদ যখন রচিত হয়েছিল তখন হিন্দুরা শক্তি এবং আধ্যাত্মচিন্তার উল্লেখযােগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল । তাই সামবেদের স্তোত্রগুলির মধ্যে আমরা পরাবিদ্যার অন্বেষণা দেখে থাকি । যিনি ইন্দ্রির জ্ঞানের অগােচর , অদৃশ্য কর্ম ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যাঁকে গ্রহণ করা যায় না তিনি অগ্রাহ্য যার মূল জানা নেই অর্থাৎ যিনি অগােত্র , তিনি সকল বর্ণ ও রূপের কারণ হয়েও নিরাকার অথাৎ অরূপ , যিনি সর্বদর্শনকারী হয়েও চক্ষুহীন যিনি সর্ব শ্রবণ সমর্থ হয়েও কর্ণহীন যিনি সর্ব কর্মকারী এবং সর্বত্র গমনকারী হয়েও হস্তপদবিহীন যিনি নিত্য বিবিধ প্রকারে বর্তমান যিনি সর্বগত পরাবিদ্যা রূপে বিরাজমান তিনিই আমাদের দর্শন দেন । এই রূপ প্রত্যক্ষ করতে গেলে সাম বেদের আশ্রয় নিতেই হবে ।

তৃতীয় বেদটিকে বলা হয় যজুর্বেদ । এই বেদটির একটি আলাদা পটভূমি আছে । এই বেদটি পাঠ করলে আমরা জীবনের অনেক জটিল রহস্যের কথা জানতে পারি মানবজাতির সাথে ঈশ্বরের কী সম্পর্ক আছে তা জানতে গেলে আমাদের যজুর্বেদ পড়তেই হবে । যজুর্বেদ পড়লে আমরা ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে পারি ।

সর্বশেষ বেদটিকে বলা হয় অথর্ব বেদ । এই বেদটি কালানুক্রমিকভাবে সব থেকে আধুনিক । অথর্ব বেদের ভেতর বিভিন্ন মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছে । দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপে আমরা কোন্ মন্ত্র কীভাবে প্রয়ােগ করবাে তা লিখিত আছে এই বেদের পাতায় ।


Download



✹ যজুর্ব্বেদ সংহিতা একত্রে.zip      
১২। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ১ম খণ্ড      
১৩। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ২য় খণ্ড      
১৪। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ৩য় খণ্ড      
১৫। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ৪র্থ খণ্ড      
১৬। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ৫ম খণ্ড      
১৭। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ৬ষ্ঠ খণ্ড      
১৮। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ৭ম খণ্ড      
১৯। যজুর্ব্বেদ সংহিতা ৮ম খণ্ড      










Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post

Contact Form